ভিডিও গেমে শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন না পড়ায় সৃষ্টি হতে পারে
নানারকম দৈহিক সমস্যা। এ কারণে অনেকের কাছেই এটি অপছন্দের বিষয় হলেও
গেমারদের কাছে সবসময়ই ভিডিও গেমস আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক। এবার গেমারদের
জন্য সুখবর জানালো ইয়াহু নিউজ।
কমায় দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা:
সাইবার থেরাপি ও টেলিমেডিসিন এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০০৯-এ দেয়া তথ্য অনুযায়ী দুশ্চিন্তা এবং বিষন্নতায় ভোগা গেমারদের মানসিক অবস্থার উন্নতিতে ভিডিও গেম গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিডিও গেমের কাল্পনিক শত্রু ঘায়েল করে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করেন তারা। আর এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা থেকে সৃষ্ট হতাশা ও আক্রমনাত্মক মনোভাবের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে ভিডিও গেম।
ব্যথা ভুলিয়ে দেয়:
নানাধরনের মানসিক কষ্টের পাশাপাশি শারীরিক ব্যথাও ভুলিয়ে দেয় ভিডিও গেম। হাসপাতালের রোগীদের জন্য নতুন এক গেম বানিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন-এর মনস্তত্ববিদরা। বিজ্ঞানীরা বেশ অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন, গেমের ব্যস্ততা ও আনন্দ রোগীকে ভুলিয়ে রাখছে শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা। অন্যদিকে সামরিক হাসপাতালেও পাওয়া গেছে একই ফলাফল। আহত সৈনিক গেম খেলার মাধ্যমে ভুলে থাকতে পারছেন শারীরিক ব্যথা। ব্যথানাশক ওষুধের প্রয়োজনটাও পড়ছে তুলনামূলকভাবে কম।
বৃদ্ধি পায় চিন্তাশক্তি:
চিন্তাশক্তি বাড়াতেও ভিডিও গেম সহায়তা করে বলেই মনে করেন মনস্তত্ত্ববিদরা। এমসিমাস্টার ইউনিভার্সিটির ভিজুয়াল ডেভলপমেন্ট ল্যাবের গবেষক ড. ড্যাফেন মরার জানান, ক্যটারাক্টসে ভুক্তভোগীরা মেডেল অফ অনার, কল অফ ডিউটির মতো ফার্স্ট পার্সন শুটিং গেম খেলার মাধ্যমে চিন্তাশক্তি বাড়াতে পারেন। তিনি মনে করেন, এরকম গেম খেলতে প্রয়োজন পড়ে গভীর মনোযোগের। ফলে গেমারের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও চিন্তাশক্তি দু’টোই বৃদ্ধি পায়।
বাড়ায় সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা:
বেশিরভাগ অ্যাকশন গেমসে গেমিং চরিত্রকে নিয়ে দ্রুত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয় গেমারকে । গেমারের সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে গেমিং চরিত্রের কার্যক্রম। নিউ ইউর্কের ইউনিভার্সিটি অফ রচেস্টার-এর নিউরো গবেষকরা জানিয়েছেন, এরকম ফার্স্ট পার্সন শুটিং গেম খেলার ফলে মস্তিষ্কের ব্যবহার বাড়ে গেমারের। এতে বৃদ্ধি পায় গেমারের বাস্তব জীবনে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা। যে কোনো জটিল পরিস্থিতিতে সহজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। এজন্য গবেষকরা গেমারদের বিভিন্ন অ্যাকশনধর্মী গেম খেলার পরামর্শ দিয়েছেন।
শিশুর দীর্ঘমেয়াদী অসুখ নিরাময়ে সহায়তা:
অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন অসুখ, যেমন ডায়াবেটিস, পারকিনসনস এবং প্রতিবন্ধীত্বে ভুগছেন শৈশব থেকে। গেমের মাধ্যমে শিশুদের রক্ষা করা যেতে পারে এ প্রকারের অসুখ থেকে। ইউনিভার্সিটি অফ ইউটাহ-এর এক গবেষণায় গবেষকরা বলেন, যেসব শিশু বিভিন্ন শিক্ষামূলক গেম খেলে, তাদের মধ্যে এ অসুখগুলোর প্রভাব কমে যায়। তারা আরও জানান, লক্ষ্য করা গেছে এ ধরনের গেম খেলা শিশুদের অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার মনোভাব বাড়ে। গবেষকদের ধারণা, যারা এরকম গেম খেলে তাদের নিউরাল মেকানিজম, পজিটিভ ইমোশন ও রিওয়ার্ড সিস্টেম অ্যাক্টিভেট হয়ে তাদের অসুখের বিরুদ্ধে প্রতিদিন লড়াই করার শক্তি যোগায়।
সমস্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়ায়:
শিশুর সমস্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ভিডিও গেমস। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ডেকান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান, তারা ৫৩ জন শিশুর ওপর গবেষণা করে পেয়েছেন, ইন্টারঅ্যাকটিভ ভিডিও গেম খেলে এমন শিশুদের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব পদ্ধতি সৃষ্টি হয়। ফলে তারা তাদের নিজস্ব পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সমাধান করতে পারে নিজেদের বিভিন্ন সমস্যার।
বয়স্কদের একাকিত্ব দূর করে:
বয়স্কদের একাকিত্বের অবসান ঘটায় ভিডিও গেম। একাকিত্বের কারণে অনেক বয়স্ক ব্যক্তি ভোগেন নানারকম মানসিক সমস্যায়। ভিডিও গেম খেলার মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তিরা সহজেই কাটাতে পারেন আনন্দদায়ক সময়, এমনটিই জানিয়েছেন নর্থ ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ। এতে বয়স্ক ব্যক্তিরা একাকিত্ব ও মানসিক সমস্যা থেকে দূরে থেকে ভিডিও গেমসের সহায়তায় কাটাতে পারেন সুখী জীবন।
কমায় দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা:
সাইবার থেরাপি ও টেলিমেডিসিন এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০০৯-এ দেয়া তথ্য অনুযায়ী দুশ্চিন্তা এবং বিষন্নতায় ভোগা গেমারদের মানসিক অবস্থার উন্নতিতে ভিডিও গেম গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিডিও গেমের কাল্পনিক শত্রু ঘায়েল করে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করেন তারা। আর এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা থেকে সৃষ্ট হতাশা ও আক্রমনাত্মক মনোভাবের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে ভিডিও গেম।
ব্যথা ভুলিয়ে দেয়:
নানাধরনের মানসিক কষ্টের পাশাপাশি শারীরিক ব্যথাও ভুলিয়ে দেয় ভিডিও গেম। হাসপাতালের রোগীদের জন্য নতুন এক গেম বানিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন-এর মনস্তত্ববিদরা। বিজ্ঞানীরা বেশ অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন, গেমের ব্যস্ততা ও আনন্দ রোগীকে ভুলিয়ে রাখছে শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা। অন্যদিকে সামরিক হাসপাতালেও পাওয়া গেছে একই ফলাফল। আহত সৈনিক গেম খেলার মাধ্যমে ভুলে থাকতে পারছেন শারীরিক ব্যথা। ব্যথানাশক ওষুধের প্রয়োজনটাও পড়ছে তুলনামূলকভাবে কম।
বৃদ্ধি পায় চিন্তাশক্তি:
চিন্তাশক্তি বাড়াতেও ভিডিও গেম সহায়তা করে বলেই মনে করেন মনস্তত্ত্ববিদরা। এমসিমাস্টার ইউনিভার্সিটির ভিজুয়াল ডেভলপমেন্ট ল্যাবের গবেষক ড. ড্যাফেন মরার জানান, ক্যটারাক্টসে ভুক্তভোগীরা মেডেল অফ অনার, কল অফ ডিউটির মতো ফার্স্ট পার্সন শুটিং গেম খেলার মাধ্যমে চিন্তাশক্তি বাড়াতে পারেন। তিনি মনে করেন, এরকম গেম খেলতে প্রয়োজন পড়ে গভীর মনোযোগের। ফলে গেমারের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও চিন্তাশক্তি দু’টোই বৃদ্ধি পায়।
বাড়ায় সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা:
বেশিরভাগ অ্যাকশন গেমসে গেমিং চরিত্রকে নিয়ে দ্রুত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয় গেমারকে । গেমারের সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে গেমিং চরিত্রের কার্যক্রম। নিউ ইউর্কের ইউনিভার্সিটি অফ রচেস্টার-এর নিউরো গবেষকরা জানিয়েছেন, এরকম ফার্স্ট পার্সন শুটিং গেম খেলার ফলে মস্তিষ্কের ব্যবহার বাড়ে গেমারের। এতে বৃদ্ধি পায় গেমারের বাস্তব জীবনে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা। যে কোনো জটিল পরিস্থিতিতে সহজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। এজন্য গবেষকরা গেমারদের বিভিন্ন অ্যাকশনধর্মী গেম খেলার পরামর্শ দিয়েছেন।
শিশুর দীর্ঘমেয়াদী অসুখ নিরাময়ে সহায়তা:
অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন অসুখ, যেমন ডায়াবেটিস, পারকিনসনস এবং প্রতিবন্ধীত্বে ভুগছেন শৈশব থেকে। গেমের মাধ্যমে শিশুদের রক্ষা করা যেতে পারে এ প্রকারের অসুখ থেকে। ইউনিভার্সিটি অফ ইউটাহ-এর এক গবেষণায় গবেষকরা বলেন, যেসব শিশু বিভিন্ন শিক্ষামূলক গেম খেলে, তাদের মধ্যে এ অসুখগুলোর প্রভাব কমে যায়। তারা আরও জানান, লক্ষ্য করা গেছে এ ধরনের গেম খেলা শিশুদের অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার মনোভাব বাড়ে। গবেষকদের ধারণা, যারা এরকম গেম খেলে তাদের নিউরাল মেকানিজম, পজিটিভ ইমোশন ও রিওয়ার্ড সিস্টেম অ্যাক্টিভেট হয়ে তাদের অসুখের বিরুদ্ধে প্রতিদিন লড়াই করার শক্তি যোগায়।
সমস্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়ায়:
শিশুর সমস্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ভিডিও গেমস। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ডেকান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান, তারা ৫৩ জন শিশুর ওপর গবেষণা করে পেয়েছেন, ইন্টারঅ্যাকটিভ ভিডিও গেম খেলে এমন শিশুদের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব পদ্ধতি সৃষ্টি হয়। ফলে তারা তাদের নিজস্ব পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সমাধান করতে পারে নিজেদের বিভিন্ন সমস্যার।
বয়স্কদের একাকিত্ব দূর করে:
বয়স্কদের একাকিত্বের অবসান ঘটায় ভিডিও গেম। একাকিত্বের কারণে অনেক বয়স্ক ব্যক্তি ভোগেন নানারকম মানসিক সমস্যায়। ভিডিও গেম খেলার মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তিরা সহজেই কাটাতে পারেন আনন্দদায়ক সময়, এমনটিই জানিয়েছেন নর্থ ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ। এতে বয়স্ক ব্যক্তিরা একাকিত্ব ও মানসিক সমস্যা থেকে দূরে থেকে ভিডিও গেমসের সহায়তায় কাটাতে পারেন সুখী জীবন।
0 comments:
Post a Comment